চেক লেখার সময়ে এই ভুলগুলি করলেই ফাঁকা হবে অ্যাকাউন্ট!- ব্যাঙ্ক জালিয়াতি এখন হামেশাই হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টাকা লেনদেনের সবথেকে সহজ উপায় হল চেকের মাধ্যমে টাকা দেওয়া।
কিন্তু সামান্য কিছু ভুল হলে, এক্ষেত্রেও হতে পারে বড় বিপত্তি। আপনার টাকা বেহাত হয়ে যাচ্ছে। চেক লেখার ক্ষেত্রে এই ভুলগুলি একদমই করবেন না..
যাঁকে টাকা দেবেন তাঁর নাম চেক-এ লিখতে হয়। কিন্তু সেই নাম লেখার সময়েও খুব সাবধানতা বজায় রাখা উচিত। নাহলে নামের পরে কোনও একটি অক্ষর সহজেই বসিয়ে জালিয়াতি করে নেওয়া যাবে।
জালিয়াতি থেকে বাঁচতে, যাঁকে টাকা দিচ্ছেন তাঁর নামের পাশে তাঁর অ্যাকাউন্ট নম্বরটিও যুক্ত করে দিন।
• পেয়ি-র বা যাঁকে টাকা দেবেন তাঁর নাম লেখা হলে, তাঁর নামের পাশে একটি লাইন টেনে দিন।
• ‘বেয়ারার চেক’ কাউকে দিলে অবশ্যই ‘বেয়ারার’ অপশনে টিক দিয়ে দিন।
• চেকের উপরে লিখে দিন এসি-পেয়ি। তা হলে যাঁকে চেক দিচ্ছেন, শুধু তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকেই ওই চেক ভাঙানো যাবে।
• চেক-এর অ্যামাউন্ট বসানোর পরে অবশ্যই ‘/-’ এই চিহ্ন দেবেন। তাতে কোনও ভাবেই অতিরিক্ত কোনও সংখ্যা বসিয়ে কেউ জালিয়াতি করতে পারবেন না। প্রতিটি সংখ্যার মধ্যে যেন কোনও ফাঁকা জায়গা না থাকে।
• ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ে যে স্বাক্ষর করছেন, সেই স্বাক্ষরটিই চেক দেওয়ার সময়ে করবেন।
আপনি যদি কোনও কোম্পানির হয়ে টাকা দেন, তা হলে কোম্পানির সিলের ছাপ দিয়ে দিন।
• চেক-এ যদি ভুল কিছু লিখে থাকেন, তা হলে সেই ভুল লেখার উপরে বা নীচে স্বাক্ষর করে দিন।
• রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম অনুযায়ী, একটি চেক তিন মাসের জন্য বৈধ থাকে। তাই অবশ্যই চেক-এ তারিখ লিখুন।
না হলে কেউ অনায়াসে তারিখ বসিয়ে সেই চেক ব্যবহার করতে পারবেন।
• অনেক সময়েই অনেক চেক বাতিল হয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে চেকটি ছিঁড়ে ফেলুন। আর না হলে চেকটিতে ‘ক্যানসেলড’ লিখে দিন।
সাবধান! আয়রনের ঘাটতিতে ভুগছেন না তো আপনি?
প্রত্যেক মানুষের শরীরে যেমন প্রোটিনের প্রয়োজন আছে, তেমনি প্রয়োজনীয় আয়রনও। কিন্তু, অনেকেই বুঝতে পারেন না, শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে কতটা পরিমাণে। বিশেষ করে মহিলারা। কিন্তু, কীভাবে বুঝবেন আপনার শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে পিরিয়ডের মাত্রা আগের তুলনায় বেড়ে যায়, তাহলে সাবধান। জানা যাচ্ছে, পর পর একধিক মাস জুড়ে যদি পিরিয়ডের সময় ‘হেভি ব্লিডিং’ হয়, তাহলে আপনার শরীরে আয়রনের মাত্রা কম থাকতে পারে। আর সেই কারণে সামুদ্রিক মাছ, বিনস, টোফু, কুমড়ো খান বেশি করে।
বেশ কিছুদিন ধরে যদি ক্লান্ত এবং নিস্তেজ মনে হয়, তাহলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। শরীরে আয়রনের মাত্র কম থাকলেও আপনি ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়বেন। সব সময় ক্লান্ত লাগবে। সেক্ষেত্রে চিকিত্সকের কাছে যান এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কতটা রয়েছে, সেটা পরীক্ষা করে নিন।
দিনের পর দিন যদি ফ্যাকাশে লাগে আপনাকে দেখতে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে। শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক থাকলে আপনাকে কখনও ফ্যাকাশে লাগবে না উল্টে আপনার আপনাকে অনেকটাই গ্ল্যামারাস লাগবে। শুষ্ক হবে না ত্বক। বরং, গোলাপী আভা ছড়াবে আপনার শরীর থেকে।
যদি অত্যধিক পরিমাণে চুল পড়ে, তাহলে শরীরে আয়রনের অভাব রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। শরীরে আয়রনের অভাব হলে, সঠিক মাত্রায় অক্সিজেন চলাচল হয় না শরীর জুড়ে। তার ফলেই চুল পড়তে শুরু করে আরও বেশি করে।